ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করার পর হরতাল শিথিল করে আনন্দ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করলেও মঙ্গলবার মাঠে নামেনি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
রাজধানীর কোনো জায়গায় দেখা যায়নি তাদের বড় ধরনের মিছিল।

রাজধানীর বাইরের চিত্রও খুব একটা সন্তোষজনক ছিলো না। আন্দোলন কর্মসূচির মতো বিজয় মিছিলেও তাদের এই অনুপস্থিতি ২০ দলীয় জোটের সাংগঠনিক দৈন্যদশাই ফুটিয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিলটি বের হয়।
মিছিলটি ‘কদম ফোয়ারা’ পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতাকর্মী ছিলো আট-দশ জনের মতো।

অথচ নয়াপল্টন অথবা গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। তাদের ঠেলাঠেলিতে অনেক সময় দলের শীর্ষ নেতারা পর্যন্ত দাঁড়ানোর জায়গা পান না।
সংবাদ সংগ্রহের জন্য আসা সংবাদকর্মীরাও অনেক সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কায় কোণঠাসা হয়ে পড়েন।
খোদ বিএনপি নেতারাই মনে করেন- মূলত মিডিয়ায় নিজেদের চেহারা দেখাতে বা দলের প্রধানকে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই নয়াপল্টন-গুলশান কার্যালয়ে তাদের আনা-গোনা।

শুধু মঙ্গলবারের বিজয় মিছিল নয়, সম্প্রতি অন্য কর্মসূচিতেও দেখা গেছে একই চিত্র। ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিছিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলাদল।

ওই দিন মিছিলের শুরুতেই সামনে দাঁড়ানো ও ক্যামেরায় চেহারা দেখানোর জন্য নিজেদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। কার আগে কে দাঁড়াবেন, এই নিয়ে বাধে হট্টগোল। শত চেষ্টা করেও ওই দিন মিছিল গোছাতে পারেননি সিনিয়র নেতারা। কয়েক পা এগিয়ে ফটোসেশন শেষে যার যার মতো প্রেসক্লাব ত্যাগ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৫