ঢাকা: যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর ক্ষমা নেই। বিচারের মাধ্যমেই তাদের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যারা লাখ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের ক্ষমা করা হবে না। আইনের আওতায় এনে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাদের জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পর নিরবতার মাধ্যমে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু এদেশে আর ক্ষমার রাজনীতি নেই। অপরাধীকে ক্ষমা করলে গণতন্ত্র টিকে না।
খালেদা জিয়াকে হুশিয়ারি সংকেত দিয়ে তিনি বলেন, ১৩০ জনকে আগুনে পুড়ে মেরে ফেলার জন্য খালেদা জিয়াকে ফাঁসির মঞ্চে যেতে হবে । হোক তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী। আগুন সন্ত্রাসীদের কোন ক্ষমা নেই।
রোববার ( এপ্রিল ১২) জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে অধিকোষ আয়োজিত ‘জাতির জনকের জন্মদিনে নৈবেদ্য’ শীর্ষক ছড়া গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে তিনি এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে দম ফেলার সময় হিসেবে নিয়েছেন। তিনি ঘরে ফেরার সময় নিয়েছেন। তাকে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া একদিকে নির্বাচনের কথা বলছেন অন্যদিকে জঙ্গিকে সমর্থন দিচ্ছেন। তার এ আচরণে আমি সামনে শান্তি দেখছি না। আরেকটা বড় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেখছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে।
তিনি বলেন, অপরাধীর সঙ্গে আমাদের কোন আপোষ নাই।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি প্রথমেই সাম্প্রদায়িকতার আলখেল্লা ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন। স্বাধীনতার দরজা খুলে পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি নিজেকে সবার আগে মানুষ ভেবেছেন এরপর বাঙালি এরপর মুসলমান।
আমাদেরকেও তার আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমেই ধর্মের টুপি পড়লে দেশ হবে রক্তাক্ত আফগান। দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রথমে আপনাকে মানুষের টুপি পড়তে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মীদের সাহিত্য সংগঠন ‘অধিকোষ’ থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি ছড়া গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আয়োজক সংগঠনের নির্বাহী সদস্য সৈয়দ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের বার্তা বিভাগের পরিচালক কবি নাসির আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘন্টা এপ্রিল ১২, ২০১৫
এজেডকে/জেডএফ/কেজেড