ঢাকা: ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ ভেঙে দিয়ে তার দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমায় জেল দেওয়া হলো।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কথা তুলে ধরে আবেগাপ্লুত ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
নিজের পরিচয় তুলে ধরে পোর খাওয়া এ রাজনীতিক বলেন, আমার নাম মতিউর রহমান। ঢাকার অনেকেই আমায় চেনেন না, তাই পরিচয়টাই আগে দিই। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় মাস্টার্স করেছি। এরপর যোগ দিই ময়মনসিংহের একটি কলেজে, সেখানে টানা ৩৬ বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।
‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি ১৯৫৮ সাল থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ পৌরসভার টানা তিনবারের মেয়রও (সাবেক পৌর চেয়ারম্যান) ছিলাম, হয়েছি এমপিও। এবার প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী বানিয়েছেন। অনেক অত্যাচারিত হয়েছি। জিয়াউর রহমানের আমলে এ মাত্রা ছিল বেশি, যা এরশাদ সাহেবের আমলে ছিল খানিকটা কম,’ বলেন অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি ধর্মমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান দূতের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠালেন, ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ ভেঙে দিয়ে তার সঙ্গে যোগ দিতে, মন্ত্রিত্বসহ নানা লোভনীয় প্রস্তাবও দেন তিনি। কিন্তু তাতে রাজি হইনি। এজন্য অনেক অত্যাচার সইতে হয়েছে। সে সময় পাঁচ-ছয় দিনের বেশি জেলের বাইরে থাকতে পারি নাই।
‘এরপরও সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত কখনও একদিনের জন্যও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ থেকে বিচ্যূত হই নাই,’ যোগ করেন ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের সাবেক এই অধ্যক্ষ।
হামদর্দ ল্যাবটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্য, ‘শিক্ষা ও মানবকল্যাণে হামদর্দ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, ধর্ম সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
ইইউডি/এমএ