ঢাকা: আগামী ২ নভেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হবে।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি সফল করতে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাহবুব উল আলম হানিফের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এবি তাজুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইয়াফেস উসমান, মহিলা বিষয়ক ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচি
হানিফ জানান, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ২ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৬ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনিমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ করা হবে। সকাল ৭টায় ধানমণ্ডি ৩২-নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল পৌনে ৮টায় বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত করা হবে। একইসময়ে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামরুজ্জামানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
প্রতিবছর জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভা ৩ নভেম্বর বিকেলে হয়। এবার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ২ নভেম্বর রাতে দেশের বাইরে যাবেন বিধায় ওই সভা ২ নভেম্বর করা হচ্ছে।
আশুরার মিছিলে হামলায় বিএনপি-জামায়াতের মদত
যৌথ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হানিফ আশুরার মিছিলে বোমা হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা সরকারের উন্নয়ন-অগ্রগতি মেনে নিতে পারেনি, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে।
হানিফ আরও বলেন, যারা পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। যারা সরকারের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত। তারাই এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এরা কারা? এটা সবারই জানা; বিএনপি-জামায়াত।
তবে এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আওয়ামী লীগ শঙ্কিত নয় বলেও জানিয়ে দেন হানিফ। তিনি বলেন, এ জাতীয় বিচ্ছিন্ন ঘটনায় আওয়ামী লীগ শঙ্কিত নয়। এ থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে বলেও ধরে নেওয়া যায় না। সরকারকে বিব্রত করতে দেশে ইতিপূর্বে এমন অনেক হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
** হামলায় বিএনপি-জামায়াতের মদত আছে, মনে করে আ’লীগ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এসইউজে/এইচএ/