রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আবদুল মতিন (২৮) নামে এক যুবলীগ নেতার হাত ভেঙে দিয়েছেন কর্মীরা।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল মতিন বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নিজের এলাকার হাফিজ মোল্লাসহ মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় গেটের সামনে বসেছিলেন আবদুল মতিন।
এসময় কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে কথা বলার জন্য মতিনকে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে যান সাধারণ সম্পাদক পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহীনুর রহমান পিন্টু পক্ষের কর্মী শহীদ। পরে সেখানে শাহীন ও সেলিম নামে আরও কয়েকজন কর্মী গিয়ে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে মতিনকে। এতে তার ডান হাত ভেঙে যায়।
পরে স্থানীয়রা মতিনকে উদ্ধার করে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুরুল ইসলাম তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে যুবলীগ নেতা শাহীনুর রহমান পিন্টু বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় তার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
এছাড়া, যারা আবদুল মতিনকে পিটিয়েছে তারা তার কর্মী নয় বলেও দাবি করেন শাহীনুর।
এ ব্যাপারে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন আহত হলেও তিনি এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে বিকেল পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান ওসি।
বাংলদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫
এসএস/এইচএ