ঢাকা: দেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে একটি দেশকে সন্দেহ করছেন খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলছেন, যে দেশটি বিশ্বের দেশে দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, সে দেশটি বাংলাদেশকে নিয়ে কোনো ভয়ঙ্কর খেলায় মত্ত কি-না, এ নিয়ে আমার প্রশ্ন।
বোববার (১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একটি দেশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। সে দেশটি বিশ্বের দেশে দেশে জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে, কোথাও কোথাও মারও খেয়েছে। আবার আমাদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লড়াইয়েও আছে। সেই দেশটি বাংলাদেশকে নিয়ে ভয়ঙ্কর কোনো খেলায় মত্ত কি-না, আজ সেটা আমার প্রশ্ন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার বিচার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তিনি যে অপরাধ করেছেন তার পরিণতি কী হবে, খালেদা জিয়া অনুধাবন করতে পারছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রমও শেষ পর্যায়ে। এই ঘটনায় তারেক রহমান কী করেছেন তা উঠে এসেছে। এই মামলার বিচারে তারেকের পরিণতি কী হবে সেটা তিনিও অনুভব করতে পারছেন। যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী, মুজাহিদসহ অন্যান্যদের বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই মুহূর্তে এ ধরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। কেন এই ঘটনাগুলো ঘটছে সেটা পরিষ্কার।
সভার প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এই বিবৃতি দেওয়ার জন্যই এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রবাহের সৃষ্টি করা হয়েছে। দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে যেসব হত্যাকাণ্ড সম্প্রতি ঘটেছে, এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সব একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোটে অনেক দল আছে, যারা মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে। এ জোটে অনেক দল আছে যারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। মুক্তচিন্তার মানুষকে হত্যা করা মানে রাষ্ট্রের মূল আদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করা।
ড. হাছান মাহমুদ স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি ও আলেম সমাজকে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি চিত্রনায়ক ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী, ফয়েজউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
এসকে/এইচএ/