ঢাকা: শনিবার (০৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া নগরিক ফোরাম (জিনাফ)।
এ আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এমন লেখা সম্বলিত ব্যানার ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ফলে অনুষ্ঠান সংক্রান্ত ঝুলিয়ে রাখা ব্যানারে অতিথির তালিকায় যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নাম না থাকলেও তিনিই প্রধান অতিথি হয়ে যান।
অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত থাকা অন্য ৬ জন নেতার মধ্যে আবু নাসের রহমত উল্লাহ ছাড়া অন্য ৫ জনই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপি কর্মীদের সিংহভাগের অপরিচিত। এজন্য অনুষ্ঠান শেষে কক্ষ থেকে বের হয়ে কয়েকজন কর্মীকে বিএনপিকে তিরস্কার করতে দেখা যায়।
তারা বলেন, এটি ভঙ্গুর বিএনপির প্রতিচ্ছবি। ৭ নভেম্বর নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা করা হচ্ছে, অথচ জাতীয় নেতাদের কোনো খোঁজ নেই। অতিথির মঞ্চে ফুটপাত নেতাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এভাবে কি বিএনপি টিকিয়ে রাখা যাবে? ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন কথাও বলেন কয়েকজন।
এদিকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলাল বলেন, বিএনপি জিয়ার আমলে ও খালেদা জিয়ার আমলে কখনো দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকাদের সঙ্গে সংহতি করেনি। ভবিষ্যত নেতা তারেক রহমানের আমলেও বিএনপি এদের সঙ্গে সংহতি করবে না।
এরপরেই চিহ্নিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন যুবদলের এই নেতা। এমনকি শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধীকে ‘ইতিহাসের নেতা’ বলেও অভিহিত করেন তিনি।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রশংসা করে আলাল বলেন, সাঈদী ইসলামের কথা বলে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও যুবকদের মন জয় করে নেন। এই নেতাই হলেন ‘ইতিহাসের নেতা’।
মঞ্চে উপস্থিত থাকা বিএনপি নেতা আবু নাসের রহমত উল্লাহ সম্পর্কে আলাল বলেন, প্রেসক্লাবকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান করে আবু নাসের রহমত উল্লাহ কর্মীদের প্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
এএসএস/এএসআর