ঢাকা: জীবনের বিভিন্ন স্তরে অনিশ্চয়তা প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শত নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচায্য অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জীবনের বিভিন্ন স্তরে অনিশ্চয়তা প্রবেশ করেছে। যারা দেশ ও দশের জন্য কথা বলছেন তারা আজ শঙ্কিত। যে কোনো মুহূর্তে প্রাণ হারানোর সংশয় দেখা দিচ্ছে। রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যক্তিবর্গও অনিশ্চয়তার মধ্য সময় পার করছেন। বিশ্বের অন্যান্যে স্বাধীন দেশে এমন পরিস্থিতি দেখা যাবে না।
তিনি বলেন, এ দেশে প্রধানমন্ত্রী, সরকার, মন্ত্রী আছে। তারপরও মানুষ ভীতির মধ্যে জীবন যাপন করছেন। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন তা তার মুখে শোভা পায় না।
ড. এমাজ উদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে এগিয়ে যেতে হলে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। দেশের স্বার্থেই সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মাথা ঘামাতে নিষেধ করে বলেন, কিছুদিন আগেও তো মেয়র নির্বাচন হয়েছে। সেখানেও প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে জনগণ। কেউ আর এই ধরনের প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না। এটা মনে রাখতে হবে স্বৈরাচারদের হটানোর অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আপনাদের দায়িত্ব হলো দেশের নাগারিকদের কথা ভেবে সেবা দেয়া। সরকারের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কাজ করা উচিত হবে না।
সভায় বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচার সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপির জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কোনো স্বৈরাচার সরকারকে সমর্থন করে নাই, করবেও না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিল দলের সভাপতি নূরী আরা সাফা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হযে দলকে সামনে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক কাজ বাকি আছে। দেশের উন্নয়নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
একে/আরআই