ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রূপগঞ্জে মহিলা লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
রূপগঞ্জে মহিলা লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা হালিমা বেগম জরিনা

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় হালিমা বেগম জরিনা (৩৫) নামে এক মহিলা লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের টেংরারটেক এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।



নিহত হালিমা ওই এলাকার রশিদ পাটুয়ারীর মেয়ে। তিনি স্থানীয় ভুলতা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, সকালে বাড়ির পাশে হালিমার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত নারীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,  ১৮ বছর আগে হালিমার সঙ্গে চাঁদপুরের আনোয়ার হোসেন নামে এক প্রবাসীর বিয়ে হয়। তাদের হৃদয় (১৫) নামে একটি ছেলে রয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে হালিমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

তিন মাস আগে উপজেলার হাটাবো টেকপাড়ার জমির দালাল বিবাহিত নুর মোহাম্মাদের (৪০) সঙ্গে হালিমার ফের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জমি নিয়ে হালিমার সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামী নুর মোহাম্মদ ও তার লোকজনের বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার।

নিহত হালিমার বাবা রশিদ পাটুয়ারী জানান,  শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিন বন্ধুকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন নুর মোহাম্মাদ। এসময় হালিমার সঙ্গে নুর মোহাম্মদ ও তার বন্ধুদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রশিদ পাটুয়ারী এগিয়ে এলে তাকে চলে যেতে বলা হয়। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে অতটা গুরুত্ব না দিয়ে পরে তিনি নিজের ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাড়ির পাশে হালিমার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এদিকে, খবর পেয়ে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক), উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী মিসেস হাসিনা গাজী, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, ঘাতকরা হালিমাকে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ এখানে ফেলে রেখে গেছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে হালিমার স্বামী নুর মোহাম্মাদ পলাতক। তাকে ও তার বন্ধুদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।