ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‌আজন্ম সংগ্রামী ছিলেন ভাসানী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
‌আজন্ম সংগ্রামী ছিলেন ভাসানী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির অহঙ্কার মাওলানা ভাসানী সারা জীবন নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে কঠোর সংগ্রাম করেছেন। বৃটিশবিরোধী আজাদি আন্দোলন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ‘স্বৈরশাসনবিরোধী’ আন্দোলন ও ভারতীয় পানি আগ্রাসনবিরোধী লংমার্চে নেতৃত্ব দিয়েছেন মওলানা ভাসানী।

আমৃত্যু তিনি সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই এবং  সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন। কিন্তু তিনি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন তা আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
 
মওলানা ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
 
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ স্মরণসভার আয়োজন করে। দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি এতে সভাপতিত্ব করেন।
 
সভায় আলোচনায় অংশ নেন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, জাতীয় পার্টির (জাফর) যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামিম, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপের যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর কমিটির সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল-কাউছারী, নোয়াখালি জেলা ন্যাপের সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
 
শফিউল আলম প্রধান বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের মানবতাবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রাজনীতির মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী। তিনি স্পষ্টত বলতেন নিপীড়িতের কান্না না থামা পর্যন্ত, সাম্রাজ্যবাদী ও লুটেরা শক্তি স্তব্ধ না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে।
 
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, মাওলানা ভাসানী রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাননি বটে, তবে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের অনুঘটক ছিলেন। আজ মাওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না, যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততোদিন মাওলানা ভাসানী দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।
 
এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর আপোসহীন রাজনীতি ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো অত্যাচারী শাসকশ্রেণির, স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও সাহসী করে তুলেছিলো সাধারণ মানুষকে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সকল মানুষকেই অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ করার সংগ্রাম করেছেন আজীবন তিনি।
 
সভাপতির বক্তব্যে জেবেল রহমান গাণি বলেন, রাজনীতি আর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তোলেন যিনি, তিনিই ভাসানী। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবলপ্রাণ বিদ্রোহীর নাম মাওলানা ভাসানী। মানবতার তূর্যবাদক এক সেনানির নাম ভাসানী। স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য দেশবাসীকে জাগিয়েছেন যিনি, মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন যিনি আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপক্ষে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন যিনি- তিনিই ভাসানী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৫
এজেড/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।