যশোর: যশোরে একটি মেসে গোপন বৈঠককালে পিটুনিতে গুরুতর আহত কামরুল হাসান (২১) নামে শিবিরের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কামরুল হাসান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ছোট খুদরা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এর আগে, সোমবার বিকেলে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একদল ছাত্র তিন শিবির কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুল্লাহ নামে একজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় অপর আহত শিবিরকর্মী আল-মামুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলার আতিয়ার রহমানের ছেলে। হতাহতরা সবাই যশোর সরকারি এমএম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আককাস আলী বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকেলে এমএম কলেজ সংলগ্ন এলাকার একটি মেসে শিবিরকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে-এমন সংবাদে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ডেকে আনেন। পরে স্থানীয় ছাত্রদের পিটুনিতে তারা আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় হাবিবুল্লাহ এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে কামরুল হাসানের মৃত্যু হয়।
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ শাখা শিবিরের সভাপতি হাবিবুর রহমান সোহাগ বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীরা মেসে হামলা করে শিবিরের ওই তিন কর্মীকে বেদম মারধর করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, এর সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শিবিরের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে সাধারণ ছাত্ররা তাদের মারধর করেছে।
** গোপন বৈঠককালে শিবির কর্মীকে পিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৫
এমজেড