ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী প্রকৃত অর্থে ক্ষমা চাইলে দেশের মানুষ হয়তো তাকে ক্ষমা করতো বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
রোববার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নুরেমবার্গ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড ২০১৪-১৫ অর্জনে শ্রমিক নেতা আমিনুল হক আমিনের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, গত দু’দিন আমরা নাটক দেখেছি। শেষ বেলায়ও দম্ভ দেখাতে ভুল করেননি সাকা চৌধুরী। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিবার নালিশ করেছে, ‘সংবিধান অনুযায়ী নাকি তার বিচার করেনি। তার (সাকা) সাফাই সাক্ষী দিতে দেওয়া হয়নি। সার্টিফিকেট গ্রহণ করা হয়নি। অথচ এসব বিষয়ে রায়ে স্পষ্ট বিবরণ আছে। ’
ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো নিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ক্ষমা নিশ্চয়ই তিনি চেয়েছেন। ক্ষমা পাননি। তবে আমি বলবো, সত্যিকারার্থে ক্ষমা চাইলে হয়তো দেশের মানুষ তাকে ক্ষমা করতো।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি আরেকটি সম্মান অর্জন করলো। যদিও এটি বহু আগে হওয়া উচিত ছিল।
মেনন বলেন, আমিনুল হক আমিন নুরেমবার্গের মানবাধিকার পুরস্কার পাওয়া জাতির জন্য সম্মানের। আজকে আপনাদের স্মরণ করে দিতে চাই, নুরেমবার্গ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিচারের জন্য বিখ্যাত।
এসময় তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক দিয়ে থাকে। কোনো শ্রমিক নেতা এমন কোনো পদক পেয়েছেন কি-না, আমার জানা নেই। আসলে শ্রমিক আন্দোলনই তো এদেশে স্বীকৃতই নয়।
আশা করি, এরপর থেকে আমাদের দেশের মানবাধিকার কর্মীরা শ্রমিকের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকাস্থ আইএলও প্রতিনিধি উত্তম কুমার দাস, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, নোমানুজ্জামান আল আজাদ শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, রায় রমেশ চন্দ্র প্রমুখ।
এসময় শ্রমিক নেতা আমিনুল হক আমিনকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
এসইউজে/জেডএস