ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপনে আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৬
‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপনে আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি

ঢাকা: মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

দিবসটিতে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সকল মহানগরী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগ র‌্যালি ও সভা-সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।



ঢাকা মহানগরীর দুইটি স্থানে র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর আড়াইটা থেকে একযোগে এসব কর্মসূচি শুরু হবে।

কেন্দ্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগ দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং রাসেল স্কোয়ারে সমাবেশ করবে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বার্ষিকী ৫ জানুয়ারিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করবে। গত বছরও এই দিনে আওয়ামী লীগ একই কর্মসূচি পালন করে। তবে ওই নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপি দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে আখ্যায়িত করে কর্মসূচি দিয়েছে।

গত বছরও একই কর্মসূচি দেওয়ায় দুই দল মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। পরদিন থেকে টানা ৯২ দিন হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যায় বিএনপি-জামায়াত জোট। এবারও দুই দল একই দিনে মাঠে নামছে।

এ সমাবেশ করতে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিলো আওয়ামী লীগ। কিন্তু একই স্থানে বিএনপিও সমাবেশের অনুমতি চাওয়ায় কোনো দলকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দেওয়া হয়নি। অনুমতি না পেয়ে বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে। সেখানে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগকে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশের অনুমতি।

মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে সঙ্গে বিএনপি মাঠে নেমে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন। এ ব্যাপারে দলের সর্বস্তরের কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জরুরি বর্ধিত সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফও কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের জনসভা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাংলার জনগণ দেখতে চায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও দেখতে চান, আপনারা কোন ধরনের জনসভা করেন। যদি মনে করেন, নাশকতা করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করবেন, তাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না, শুভ হবে না। এর কঠোর জবাব দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন। এটা মাথায় রেখে আপনারা কর্মসূচি দেবেন’।

গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এ জরুরি বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা মহানগরের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং রাসেল স্কোয়ারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময় ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসকে/এএসআর/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।