ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে: দুদু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২১, জুন ২৯, ২০২৫
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে: দুদু

ঢাকা: নির্বাচনের দিনটার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে গণতন্ত্র রক্ষা পাবে।

তাই যত বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হতেই হবে। এর সঙ্গে কোনো আপস নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

রোববার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, যারা সকালে এক কথা, দুপুরে এক কথা আবার বিকেলে আরেক কথা বলছেন তাদেরকে বলবো—আসেন আমরা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ত্রুটি-বিচ্যুতি যেগুলো থাকবে আমরা বসে সমাধান করি। আর মানুষ যাকে ভোট দিবে সেই দল সরকার গঠন করবে। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করি।

তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্রের যারা বিরোধিতা করে, তারা গণতন্ত্র প্রত্যাশা করে। আর যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়, তারা স্বৈরাতন্ত্রকে সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে। কিন্তু, গণতন্ত্র উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে যদি বাদ দেয়া হয়, বিতর্ক করা হয় তাহলে তো পরোক্ষভাবে স্বৈরাতন্ত্রের পক্ষ হয়ে যায়। আমি কোনো দলের সমালোচনা করছি না। তবে সকলের মতামত থাকতে পারে।

জামায়াত ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচন হলে আমরা জানি কারা কত ভোটের অধিকারী। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন পার্টি, বিএনপিরও অনেক আগে তাদের জন্ম। পাকিস্তান আমলে হওয়ার পরেও পাকিস্তান আন্দোলন তারা সমর্থন করেনি। ইসলামিক রিপাবলিকেও তারা দু'চারটার বেশি আসন পায়নি। একা একা ইলেকশন করলে কয়টা সিট পান আর বিএনপির সঙ্গে ইলেকশন করলে কয়টা সিট পান। আমরা জানি আপনাদের অবস্থা। এখন ইলেকশনে গেলে যতটুকু আছে সেটাও থাকবে না। সংকটের মধ্যে আপনারা আছেন। ভিন্নমতকে আমরা শ্রদ্ধা করি।

জামায়াতে ইসলামকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, ড. ইউনূসকে গণতান্ত্রিক সরকার, সর্বসম্মত সরকার মানেন কিনা সেটা আপনাকে বলতে হবে। এটা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। মানুষ রক্ত দিয়ে এ সরকারকে এনেছে। সে সরকার ইলেকশনের আহ্বান করবে আর আপনি সেই ইলেকশনে যাবেন না! 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন হতে হবে। বিএনপিকে দেশের মানুষ ভালোবাসে। বিএনপিকে ভালোবাসার কারণ হলো তারা স্বৈরাতন্ত্র সঙ্গে আপস করেনি। হাসিনার সঙ্গে আপস করেনি। বেগম জিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তাকে এখন বিএনপির নেত্রী বললে হবে না। তিনি এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। তিনি যখন কথা বলেন, তখন দেশের মানুষ আশ্বস্ত হয়। আর তারেক রহমানকে আল্লাহ রক্ষা করেছে। ১/১১ এর সময় তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। আর সেই দলের সঙ্গে আপনি (জামায়াতে ইসলাম) লাগবেন, একটু ভেবেচিন্তে লাগবেন না! গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ আমরা পেয়েছি, আপনি (জামায়াতে ইসলাম) বিএনপিকে কীভাবে ঠেকাবেন। বিএনপি হচ্ছে সাগরের মতো। সাগর কখনো বাঁধ দিয়ে ঠেকানো যায় না।  

তিনি বলেন, এপ্রিল মাসে এদেশে কখনো নির্বাচন হয়েছে কিনা এটা আমার জানা নেই। জুন মাসেও নেই। তাহলে এটি যখন ফেব্রুয়ারি মাসে আসছে, বলা যায় সবাই এটা সমর্থন করেছে। এজন্য আমরা বিএনপি অ্যাক্টিং চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও ড. ইউনূসকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদও দিয়েছি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আব্দুল হালিম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল আহমেদ, নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি কালাম ফয়েজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান বাবুল, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক এম আহমেদ খান মন্টু ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান।

ডিএইচবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ