ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন কমিটিকে মূল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) হিসেব সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এতে বিদ্রোহীদের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
গত ১২ মার্চ জাসদের কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে বিদ্রোহের জেরে শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি অংশ নিজেদের মূল জাসদ ঘোষণা দিয়ে কমিটি গঠন করে। এরপর ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশটিও কমিটি গঠন করে।
এরপর দু’পক্ষই চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নিজেদের সমর্থিত প্রার্থীদের জাসদের প্রতীক ‘মশাল’ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানায়। সে পরিপ্রক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল দু’পক্ষেরই শুনানি করে ইসি। একইসঙ্গে কাউন্সিলসহ দলের অন্যান্য বিষয়ে দলিলাদিও জমা নেয় সংস্থাটি। এরপর সেসব বিশ্লেষণ করে গত ১৩ এপ্রিল ইনুর নেতৃত্বাধীন অংশটিকেই মূল জাসদ হিসেবে সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচন কমিশন।
এতেই বিদ্রোহী অংশটিতে থাকা চার নেতার এমপিত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু একটি অংশ দল থেকে বের হয়ে গেছে, সেহেতু সে অংশটির নেতারা আর দলটির সদস্য নন। তাই বিষয়টি নিয়ে কেউ সংসদে বিরোধ উত্থাপন করলে তাদের এমপি পদ থাকবে না। তবে এজন্য সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ কেউ বিরোধ উত্থাপন করলে স্পিকার যদি তা নিষ্পত্তির জন্য ইসিকে চিঠি দেন, তবে ইসি সে বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেবে।
সম্প্রতি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর বেলায় যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল, এক্ষেত্রেও তাই করা হবে বলেও মনে করেন কর্মকর্তারা।
শরীফ নুরুল আম্বিয়ার অংশটিতে মোট চারজন এমপি রয়েছেন। তাদের মধ্যে নাজমুল হক প্রধান ও রেজাউল করিম তানসেন দশম সংসদ নির্বাচনে মশাল নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া মঈনুদ্দীন খান বাদল নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। আর লুৎফা তাহের সংরক্ষিত আসনের এমপি।
তাদের সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ রোববার (১৭ এপ্রিল) তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্রোহীদের বিষয়ে সংসদ বিবেচনা করবে। এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।
তিনি বলেন, আমরা দুই পক্ষের দাখিল করা কাগজপত্র বিবেচনা করেছি। কারণ, সেখানে কে কোথায় ছিলেন তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কাগজপত্র অনুসারে গঠনতন্ত্রের যে ধারাগুলো আছে, যে বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক নয়, সে বিষয়গুলো বিবেচনা করেছি। আমরা মনে করেছি, যে, হাসানুল হক ইনু জাসদের সভাপতি এবং শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক। ঠিক সেভাবেই আমরা বিবেচনা করে তাদেরকে মশাল প্রতীক ব্যবহার করতে বলে দিয়েছি। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। কাজেই পরবর্তী যু্ক্তিগুলো তারা যদি কোথাও আইন সঙ্গতভাবে বিবেচনা করেন, সেখানে করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
ইইউডি/এএসআর