ঢাকা: জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ১৪ মে জাতীয় কাউন্সিলের পর জাতীয় পার্টি রাজনীতি হবে জনগণের রাজনীতি।
রোববার (০৮ মে) সন্ধ্যা রাজধানীর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশবাসীকে নতুন রাজনীতি উপহার দেবে জাপা। এ কাউন্সিলের মাধ্যমে দেশে নতুন জাগরণ সৃষ্টি করবে। দেশবাসীর জন্য নতুন রাজনীতি নিয়ে আসবে। সেই রাজনীতি হবে মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেই আগামীতে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাবে।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন মিলন, ভাইস চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ইকবাল হোসেন রাজু, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আরিফ খান, মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জহিরুল আলম রুবেল, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদিকা অনন্যা হোসেন মৌসুমী, মহানগর নেতা শেখ মাসুক রহমান, সুজনদে, জাহাঙ্গির আলম ও মাহবুবুর রহমান খসরু প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জিএম কাদের বলেন, আসন্ন কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে। সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি, আল্লাহ যেন সেই প্রত্যাশা পূরণ করে। সারা ঢাকায় জাতীয় পার্টির রব উঠবে। প্রতিটি এলাকায় জাতীয় পার্টির দূর্গ গড়ে তোলা হবে। ’ নেতাকর্মীদের সঠিক রাজনৈতিক চর্চার পাশাপাশি আসন্ন কাউন্সিল সফল করার আহ্বান জানান এবং যারা দলের জন্য কাজ করছেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।
কাদের বলেন, সঠিক রাজনীতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে। সেই জাতীয় পার্টির মালিক হবে জনগণ, কোনো ব্যক্তি বিশেষ নয়।
দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার নেতাকর্মীদের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পল্লীবন্ধু ডাক দিয়েছে তোমরা কাউন্সিলে আসো। তোমরা এলে কাউন্সিল সফল হবেই।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এখন অন্য বড় দলের চেয়েও শক্তিশালী। এখন আমাদের টোকা মারার ক্ষমতা কারো নেই। সবার পরিশ্রমে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টির দূর্গ গড়ে উঠেছে। দলকে সংগঠিত করে পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টিকে আগামীতে ক্ষমতায় নিয়ে যাবার আহ্বান জানান তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিরোধী নেতা ও দলের কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর শীর্ষপর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীদের জন্য ‘বিশেষ মেজবানের’ আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এমএফআই/আরবি/এসএইচ