ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখবো ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবো’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মানববন্ধনটির আয়োজন করে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ।
হাসান মাহমুদ বলেন, ইসলাম কখনো হত্যাকে সমর্থন করে না। যারা ইসলামের নাম করে মানুষ হত্যা করছে তারা দেশ ও মানবতার শত্রু। এরাই আগে মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটতো আর এখন এরা মানুষকে জবাই করতে শুরু করেছে। মনে রাখবেন এরা যেমন দেশের শত্রু তেমনিভাবে দেশের উন্নয়নেরও শত্রু।
তিনি বলেন, এখন কথায় কথায় মানুষ হত্যা করা হয়। আর এই হত্যার পর তাদেরকে আইএস নামক একটি পদক দেয়া হচ্ছে। কিন্তু যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তারা ইহুদিদের দোসর। তারা কখনো ইসলামের ভালো চায় না। তেমনিভাবে তারা বাংলাদেশেরও ভালো চায় না।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি স্বীকার করেছেন দেশে কোনো আইএস নেই। দেশের সন্ত্রাসীরাই এই হামলা করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এতেই প্রমাণ হয় কারা এই হামলা করছে বা করাচ্ছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, এই হামলার মদদ দিচ্ছে খালেদা জিয়া। কেন না তিনি কখনো চান না দেশ এগিয়ে যাক। কিংবা দেশের উন্নয়ন হোক। জামায়াত-বিএনপি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। এজন্য সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতেই তারা এই হামলা করছে।
পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, দেশে সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো স্থান নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে মর্যাদা লাভ করবে।
হামলা কিংবা মানুষ মেরে দেশের উন্নয়ন থামানো যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশ এখন দিন দিন উন্নতি করছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন তাদের সহ্য হয় না। তাই তারা জামায়াতের সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হামলা করাচ্ছে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আইডিইবি ঢাকা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দসহ সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, ঢাকা ওয়াসা, গণপূর্ত, বিএডিসি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডেসকো, ডিপিডিসি, পিজিসিবি, শিক্ষা প্রকৌশল, জনশক্তি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, বিটিসিএল, তিতাস গ্যাস, কর্মপ্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি, প্রাইভেট সেক্টর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশন,আইডিইবি টেক্সটাইল,বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা আইডিইবি’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো.খবির হোসেন,আইডিইবি (কেনিক) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.ফজলুর রহমান, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইদরীস আলী, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হকসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬
এসজে/আরআই