ঢাকা: জঙ্গি নির্মূলে সরকারের আন্তরিকতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সরকার আন্তরিক হলে জঙ্গিদের হত্যা না করে গ্রেফতারের মাধ্যমে উগ্রবাদের নাটের গুরুদের হদিস বের করতে সচেষ্ট হতেন।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুর ১২টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলছেন- জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা রয়েছে। তারা বলছেন- বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই নাকি জঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে। আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলছেন-আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখন উগ্রবাদ দমনে জঙ্গিদের হত্যা করছে তখন বিএনপি মায়াকান্না করছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা এধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। বিএনপি বরাবরই বলে আসছে-জঙ্গিদের গ্রেফতার করে জঙ্গিবাদের উৎস বের করা হোক। জঙ্গিদের হত্যা করার ফলে তাদের শিকড় সন্ধান করা দুরহ হয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। শুধু বিএনপিই নয়, দেশবাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে জঙ্গি নির্মূলে সরকারের আন্তরিকতা নেই, যদি থাকতো তাহলে জঙ্গিদের হত্যা না করে গ্রেফতারের মাধ্যমে উগ্রবাদের নাটের গুরুদের হদিস বের করতে সচেষ্ট হতেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (০১ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে বলেছেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাকি তার চরিত্র হনণের চেষ্টা করেছিলেন। আমি তার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার কাছে নেই।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবর রহমানের নৃশংস ভাবে হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী নেতারাই ক্ষমতায় বসেছিলেন, আওয়ামী নেতারাই সংসদেও ছিলেন। কিন্তু তখন শেখ হাসিনা দেশে আসতে পারেননি। কিন্তু প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার আগ্রহ ও সম্মতিতেই তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরেছেন এবং অবিলম্বে তাকে তাদের পরিবারের বাড়িঘর ও সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল। শহীদ জিয়া কখনো শেখ মুজিবর রহমান সম্পর্কে কোনো অশালীন কিংবা আক্রমনাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন-এমন কোনো দৃষ্টান্ত নেই। বরং আজ যারা সরকারের মন্ত্রী তাদের অনেকেই শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নানা কটুক্তি করেছেন এবং তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই ‘৭৫ এর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বানভাসি মানুষের অবর্ণনীয় দুর্দশা লাঘবে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়-নিন্দনীয়। ত্রাণসামগ্রীর অভাবে বন্যার্ত মানুষ দু:সহ জীবন যাপন করছে। বন্যার্ত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা আমাদের দলের নেতাকর্মীদের যে আহবান জানিয়েছি তার ভিত্তিতে তারা সীমিত সামর্থ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলেই আমরা আকস্মিক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নি:স্ব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৬
বিএস