ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর হত্যার কুশীলবদের বিচারে একটি কমিশন গঠন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়মী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘কথা-কবিতা-গানে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক স্মরণ সভার আয়োজন করে বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট।
হাসান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য, যারা বেঁচে আছে তাদের বিচার করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানসহ যারা এ হত্যাকাণ্ডের কুশীলব ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম জানতে
পারে শুধু কর্নেল ফারুক, রশীদ নয় এদের পেছনে আরও কারা কারা যুক্ত ছিল। সেজন্য কমিশন গঠন প্রয়োজন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে তাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার পেছনে যাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে তারা পেছনে থেকে এর কলকাঠি নাড়াচ্ছে। এ সমস্ত ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে যুক্ত, মাস্টার মাইন্ড অনেকেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, মাস্টার মাইন্ড মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শোলাকিয়ার হামলার সঙ্গে যুক্তদের একজনের বাবা জামায়াত ও একজনের বাবা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
আজকে যারা এসব ঘটনায় জড়িত তারা কোনো না কোনো ভাবে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে গেছে। এরা বিএনপির সহায়তায় নানা নাম ধারণ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি আরো বলেন, হরকাতুল জিহাদ, জেএমবি এরা জামায়াত-শিবিরের নতুন সংস্করণ। এদের পেছনে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে তারা আর কেউ নয় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। খালেদা জিয়ার আঁচল তলায় তারা আশ্রয় নিয়েছে।
রাজনীতি দুর্বৃত্তায়নের জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়ার রাজনীতির স্লোগান ছিল ১০টা হুন্ডা, ১০ জন গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আজম বাশারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব সাইফুজ্জামান শেখর, আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদক সৈয়দ আউয়াল শামীম, অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
আরইউ/এসএইচ