ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। খুনির মুখোশ উন্মোচন করলে বিএনপি নেতাদের বড় কষ্ট লাগে, যদিও ইতিহাস বড় নির্মম, বড় নিষ্ঠুর, সত্য বেরিয়ে এসেছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান কাজী বশির মিলনায়তনে 'জাতীয় শোক দিবস' উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে ‘মূল চক্রান্তকারী’ জিয়াউর রহমানসহ খুনিদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচার হয়েছে, অনেকের রায় কার্যকর হয়েছে। অনেকে বিদেশে পালিয়ে আছে, আমরা তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্যে দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করবো।
তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের খুনি-ঘাতকদের বাইরে যারা মূল চক্রান্তকারী হিসেবে ছিলো, তাদের বিচার এখনো হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে আন্তর্জাতিক যে চক্র ছিল, সেই চক্রের সঙ্গে মূল চক্রান্তকারী হিসেবে বাংলাদেশে ছিল খুনি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান তখন সামরিক বাহিনীর উপ প্রধান হিসেবে সমস্ত কলকাঠি নেড়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এক বক্তব্য তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, আমরা বার বার বলে এসেছি, ৭৫’এ খন্দকার মোশতাকের মতো বাঙালিরা এক মীর জাফরকে দেখেছিল। কিন্তু খন্দকার মোশতাক কি ওই চক্রান্তের মূল হোতা ছিল? সে কি একাই ছিল। খন্দকার মোশতাক যেমন এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে চক্রান্তকারী ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে চক্রান্ত করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর মতো এক বিশাল নেতাকে হত্যা করার জন্য মোশতাকের সেই ক্ষমতা ছিল না, সেই ক্ষমতা ছিল জিয়াউর রহমানের।
হানিফ আরও বলেন, জাতির কাছে পরিষ্কার হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে মূল হোতা হিসেবে জিয়াউর রহমান দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
‘আমরা সেই কারণে দাবি করেছি, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে বাংলাদেশে আর কারা চক্রান্তকারী ছিল, তাদের তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হোক এবং খুনি জিয়াউর রহমানসহ অন্যদের মরণোত্তর বিচার করা হোক’- বলেন হানিফ।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকীতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিল, এ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সোনার বাংলাদেশ হবে। সেই বাংলাদেশ গড়ার আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ঘাতকরা সেই স্বপ্ন হত্যা করতে পারেনি, সেই স্বপ্ন দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা, দেশের মানুষ আবার সেই স্বপ্ন দেখছে।
তরীকত ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব এম এ আউয়াল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৬
টিএইচ/এসএইচ