ঢাকা: সরকার দলীয়ভাবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে আইনে সংশোধন আনায় সেভাবেই বিধিমালাও সংশোধন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ তিনটিতে দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (২৪ আগস্ট) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা সংশোধনের জন্য বৈঠকে বসেছিল কমিশন। এতে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থিতার জন্য ২৫০ জন ভোটারের সমর্থন দেওয়ার শর্ত আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নথি আকারে উত্থাপিত হলে তাতে অনুমোদন দেওয়ার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এরপর তার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য সংশোধনীটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিলেই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে কমিশন।
সম্প্রতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রেও স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থিতা শিথিলের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে ৩০০ ভোটারের সমর্থন দেখানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভা নির্বাচনে ১০০ ভোটারের সমর্থন দেখাতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থিতার জন্য এ শর্ত রাখা হয়নি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখাতে হয়।
উপজেলায় মহিলা সদস্য পদে নির্দলীয়ভাবেই ভোট হবে। এই ভোট হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে। বিধিমালায় প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় রাখা হচ্ছে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা।
আচরণ বিধিমালা সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্য নির্বাচনগুলোর মতো এ নির্বাচনেও মন্ত্রী বা সম পদমর্যাদার ব্যক্তি, মেয়রসহ সরকারি সুবিধাভোগীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হচ্ছে।
সর্বশেষ চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেসময় কেবল তিনটি পদে ভোট হয়েছে। বিধিমালা না থাকায় মহিলা সদস্য পদে পুরো পাঁচ বছরেই নির্বাচন হয়নি।
২০১৫ সালের নভেম্বরে সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণের আইন করে সরকার। এরপর বিধিমালা সংশোধন করে একই বছর ডিসেম্বরে প্রথমবারের মতো দেশে দলীয়ভাবে পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন করে ইসি। গত জুনে শেষ হওয়া নবম ইউপি নির্বাচনও দলীয়ভাবেই সম্পন্ন করেছে সংস্থাটি। আগামী ডিসেম্বরে নারায়নগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচন দলীয়ভাবেই সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৬
ইইউডি/আইএ