ঢাকা: দুই দুর্নীতি মামলায় বুধবার (৩১ আগস্ট) আদালতে যাচ্ছেন না মামলা দু'টির প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এর কারণ হিসেবে জামায়াতের ডাকা হরতালে ‘নিরাপত্তাহীনতার’ কথা বলা হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে বুধবার। দুই ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।
গত ১৮ আগস্ট মামলা দু'টির সর্বশেষ শুনানিতে খালেদা জিয়াকে ৩১ আগস্ট হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
তবে জামায়াত সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকায় খালেদা জিয়া ‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণে আদালতে হাজির হবেন না বলে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল থাকায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ হরতাল আহ্বান করেছে জামায়াত।
চ্যারিটেবল মামলায় ৩২ জনের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিলেও আসামিপক্ষের আবেদনে বার বার পেছাচ্ছে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থন। অরফানেজ মামলায় এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৬ সাক্ষী।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ঢাকা তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৬
এমআই/এএসআর