ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, জাতীয় সংসদ ভবন নিয়ে স্থপতি লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়নে যা সরানো দরকার তাই করা হবে।
শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক সভায় তিনি একথা বলেন।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও নিরাপত্তা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভূইয়া।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামরুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র একজনের কবর সরানোর জন্য এ নকশা আনা হয়নি। সংসদ ভবনের জন্য করা লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়নের জন্য এটা আনা হয়েছে। ওই এলাকার মধ্যে যার কবর পড়ে সেটা সরিয়ে নকশা বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে সরকার মুছে ফেলতে চায় না। ইতিহাসে জিয়াউর রহমান খলনায়ক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।
খালেদার জিয়ার মামলার বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকাশ্য আদালতে বিচার হচ্ছে। এই মামলায় যে রায় হয় আমরা তা মেনে নেবো।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িতার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রশংসা না করে উপায় নেই। এজন্য সাংবাদিকের স্যালুট জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, খুলনায় দিবালোকে সাংবাদিক মানিক সাহাকে হত্যা করা হয়েছে। ১২ বছর পর হত্যাকারীদের যাবজ্জীবন হয়েছে। এটা ফাঁসি হওয়া উচিত ছিলো। কারণ এখন যারা আসামি তারা অনেক বছর জেল খেটে ফেলেছে। আর কিছু দিন পরে বেরিয়ে এসে মানিক সাহার পরিবারকে নির্যতন করবে। তাই আমরা আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩,২০১৬
ইএস/বিএস