ঢাকা: চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘মাজার’ সরানোর প্রসঙ্গে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, “মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রে সরকার নিজেদের পতনে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে। ”
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় সংসদের যে নকশা সরকার সংগ্রহ করেছে, সেটা যে মূল নকশা তাও জানা যায়নি। মূল নকশাবহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের নামে সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জিয়াউর রহমানে মাজার কমপ্লেক্স এখান থেকে উচ্ছেদ করা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লুই আই কানের মূল নকশা এখন বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবুও ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার এই নকশা বাস্তবায়নের নামে কেবল জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর চক্রান্তমূলক নীল নকশা করছে। ”
বিএনপির এ নেতা বলেন, “সরকারের এ দৌড়ঝাঁপ প্রধানমন্ত্রীর হিংসাশ্রয়ী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি দেশকে এক অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রী হানাহানি আর রক্তপাত ছাড়া সুস্থির থাকতে পারেন না। দেশের অভ্যন্তরে বিভেদ বিভাজনই যেন তার একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি। মেরুকরণের বিপজ্জনক খেলায় গোটা জাতিকে তিনি ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছেন। এই অরাজক অমানিশা এদেশের জনগণ দীর্ঘস্থায়ী হতে দিবে না। দেশের দেশপ্রেমিক শক্তি জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রে সরকার নিজেদের পতনে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে। ”
তিনি ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, “বিদ্যমান দুঃশাসনে গণতন্ত্র আত্মসাতের পটভূমিকায় পরিকীর্ণ বিভীষিকার আবহে বিএনপি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “দেশের সামগ্রিক নির্বাচন নিয়ে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার যে অনাচারের সংস্কৃতি চালু করেছে, সেটির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেই জনগণের শক্তি নিয়ে সরকারি দাপট মোকাবেলা করতে হবে। আমরা জানি-বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের কোনো ‘মানবিক মুখমণ্ডল’ নেই। এরা অমানবিক যেকোনো সহিংস পন্থা অবলম্বন করেই নিজেদের উদ্দেশ্যসাধনে তৎপর থাকবে। ”
সেজন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের সবসময় সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির এ নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “নির্বাচন কমিশন তাদের বেলাশেষে গণতান্ত্রিক সৌজন্যের উদাহরণ সৃষ্টি করে সরকারের ফতোয়া, ফরমান, ডিক্রি, নির্দেশ উপেক্ষা করে আগামী ২২ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ করতে উদ্যোগী হবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এইচএ/