ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ক্ষমতার লিপ্সা সরকারকে অন্ধ করে দিয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ক্ষমতার লিপ্সা সরকারকে অন্ধ করে দিয়েছে

ক্ষমতার লিপ্সা সরকারকে অন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: ক্ষমতার লিপ্সা সরকারকে অন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  
 
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ তানোরের কৃষক হত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল এ আলোচনা সভার আয়োজন  করে।
 
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের দেওয়া ‘সরকার বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডে বিশ্বাস করে না’ বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যদি সত্যকে লুকানোর জন্য উট পাখির মতো বালুর মধ্যে মুখ গুজে থাকেন, তাহলে ঝড় থেমে যাবে না। আজকে এরা (সরকার) সত্যকে লুকিয়ে রাখতে চাইছেন। এড়িয়ে যেতে চাইছেন। জনগণের ক্ষোভ-দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রণাকে অস্বীকার করে তাদের বোকা বানাতে চাচ্ছে।  
 
এতে করে শেষ রক্ষা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশের মানুষের ইতিহাস হচ্ছে, বরাবরই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারা অধিকার আদায় করে নিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। আমরা মনে করি ক্ষমতার লিপ্সা তাদের অন্ধ করে রেখেছে।
 
জামায়াতসহ জোটের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আদর্শের সঙ্গে বিএনপির আদর্শের ফারাক রয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য যেমন সব রাজনৈতিক দল এক হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ৫৪ সালে তৎকালীন মুসলীম লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান- সাবই এক হয়ে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এইসব রাজনৈতিক দলের আদর্শ এক ছিল না।  
 
তেমনিভাবে আজ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা এক হয়েছি। ২০দলীয় জোট এক হয়ে কাজ করছে। এখানে এক দলের আদর্শের সঙ্গে আরেক দলের আদর্শ’র হুবহু মিল নেই- বলেন ফখরুল।
 
তিনি আরও বলেন, আজকের প্রজন্মকে বলা হয় ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। ইতিহাস বিকৃতি করছে কারা? ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭৩ সালে তানোরের হত্যাকাণ্ড অথবা সিরাজ সিকদার হত্যাকাণ্ড অথবা চট্টগ্রামের হত্যাকাণ্ড ছিল খণ্ডিত অংশ। এ রকম হাজার হাজার তরুণকে হত্যা করা হয়েছিল রক্ষীবাহিনী দিয়ে।
 
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস- এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে যারা সেদিন সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তারা অনেকেই আজ আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী- বলেন বিএনপির মহাসচিব।  

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।