ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘রাজশাহীর অর্থ সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে চাই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
‘রাজশাহীর অর্থ সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে চাই’ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মোহাম্মদ আলী সরকার

রাজশাহীর আর্থ সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানালেন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার।

রাজশাহী: রাজশাহীর আর্থ সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানালেন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার।

নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের বিদ্যমান অচলাবস্থা দূর করে জেলা পরিষদকে গতিশীল করে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ও নির্বাচিত হলে রাজশাহী জেলা পরিষদকে ঘিরে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরার জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে শুনেছেন, এতদিন জেলা পরিষদ থেকে কোনো বরাদ্দ নিতে গেলে তার একটি অংশ সেখানে দিয়ে আসতে হতো। কখনও কখনও আগাম টাকা দিতে হতো। তাই তিনি নির্বাচিত হলে প্রথমেই জেলা পরিষদের এই অঘোষিত ‘পার্সেন্টেজ প্রথা’ বিলুপ্ত করতে চান।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে জানলাম, ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি জেলা পরিষদই চেনেন না। অথচ জেলা পরিষদ হবে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের আশা-ভরসার প্রতীক। এতোদিন কী কারণে তাদের জেলা পরিষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়নি তা এক বড় প্রশ্ন। আমি নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করবো। জনপ্রতিনিধিদের সিদ্ধান্তের বাইরে একটি কাজও করবো না। জেলা পরিষদে যথাযথ সম্মান করা হবে তাদের। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, ‘জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জেলা পরিষদ। কিন্তু সেখান থেকে বরাদ্দ নিতে জনপ্রতিনিধিদের এতোদিন নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। নির্বাচিত হতে পারলে জেলা পরিষদের বরাদ্দ সুষমভাবে বন্টন করবো। প্রয়োজনে পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ডেকে এনে তার এলাকার বরাদ্দ বুঝিয়ে দেবো। শহরের ভেতরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করবো।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে আহসান উদ্দিন সরকার জিকো ও কর্মী-সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এসএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।