ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিএনপি’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
‘শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিএনপি’

ঢাকা: শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের জন্য বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 
 

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন হল রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
 
আব্দুল হাই সিকদারের লেখা ‘জ্যোতির্ময় জিয়া এবং কালো মেঘের দল’ বই’র চতুর্থ সংস্করণ’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘তাদের সব দায়-দায়িত্ব তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর অর্পণ করে তারা (বিএনপি নেতারা) খুব ভুল করছেন। উনাকে (খালেদা) ছাড়া বিএনপি চলবে না-এটা যেমন সত্য, উনাকে (খালেদা) রাস্তায় নামতে হবে। ’
 
জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাজনীতি তো একখানে বেঁধে রাখার জিনিস না। এর উত্থান আছে, পতন আছে। কখনো খারাপ সময় যাবে, কখনো ভালো সময় যাবে। কিন্তু আমরা একটা কথা খুব পরিষ্কার করে বলতে পারি, ‘উই আর কমিটেড উইল ফাইট টু দ্যা লাস্ট। জিয়ার আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও বিএনপি লড়াই করবে। ’
 
তিনি বলেন, আমাদের মুরব্বী জাফরুল্লাহ ভাই আমাদের অনেকগুলো উপদেশ দিয়েছেন। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে তার এ উপদেশগুলোকে অনুধাবন করেছি। একটি কথা শুধু বলতে চাই, আমরা লড়াই করছি একটা ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে। বিএনপি একটা গণতান্ত্রিক শক্তি।  
 
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই আট বছরে হাজারের ওপরে আমাদের নেতা-কর্মী হারিয়েছি। তাদের হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ গুলি করে মেরেছে। ৫শ’র ওপরে নেতা-কর্মী গুম হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গু হয়েছে। এই সরকারের নির্মম নির্যাতনে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য কাজ করছে।  
 
খালেদা জিয়াকে অভিবাদন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক’জন নেতা আছেন, যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনের মতো এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন? তিনি টানা নয় বছর আন্দোলন করেছেন। স্বামী হারিয়েছেন; পুত্র হারিয়েছেন। আরেক পুত্র নির্বাসনে আছেন। এখনো প্রতি সপ্তায় তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়।  
 
অত্যন্ত সত্য কথা! হ্যাঁ, আন্দোলন করতে তো রাজপথে আসতে হবে। আমরা রাজপথে আসছি। আমরা প্রতিবার রাজপথে এসেছি, সময় মতো, সুযোগ মতো অবশ্যই আমরা আবারও রাজপথে আসব-বলেন ফখরুল।
 
ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বাংলাদেশ’র সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফুদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, মোড়ক উন্মোচন হওয়া বইয়ের লেখক কবি আব্দুল হাই সিকদার প্রমুখ।  
 
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বাংলাদেশ’র মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এজেড/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।