সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বর ঘুরে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।
ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আল জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, রাজনৈতিক শিক্ষাষিয়ক সম্পাদক জাহিদ সুজন, ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাঁকন বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মশিউর রহমান খান, বাগাছাস ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি অলীক মৃ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সৈকত মল্লিক বলেন, “বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে। ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকতে তিনি ‘আঠাতত্ত্ব’ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। শিক্ষাধ্বংসের কারিগর হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ‘শিক্ষাধ্বংসের গোল্ডেন এ প্লাস’ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। দেশের শিক্ষাকে বাঁচাতে হলে এই ব্যর্থ শিক্ষামন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। ”
সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল বলেন, “পাঠ্যপুস্তককে দলীয় পোস্টারে পরিণত করা হয়েছে। এটা মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের চেতনার পরিপন্থি। বাংলাদেশ কোনো একক ব্যক্তির নয়, এই দেশের মালিক ১৬ কোটি জনগণ। ”
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন উত্থাপিত চারদফা দাবি:
১. ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং দায়ী কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. ভুলে ভরা ও দলীয় শ্লোগান সমৃদ্ধ পাঠ্যপুস্তক অবিলম্বে বাতিল করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধিত পাঠ্যপুস্তক বিদ্যালয়সমূহে পৌঁছে দিতে হবে।
৩. পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের পূর্বে অবশ্যই শিক্ষার সাথে যুক্ত সর্বজনগ্রাহ্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও তা জনমত যাচাইয়ের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।
৪. বিদেশে নিম্নমানের বই ছাপিয়ে বিপুল অর্থ অপচয় চলবে না। দেশের বই দেশেই ছাপাতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ