প্রধান আসামি খালেদার আবেদনে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এ আদেশ দেন রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত।
এর আগে শুনানি শেষে মামলাটির পুনঃতদন্তে খালেদার আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার এ মামলায় খালেদা জিয়ার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তবে তার উপস্থিতিতে মামলাটির পুনঃতদন্তের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান। এর বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
আবেদন নামঞ্জুর হলে আত্মপক্ষ সমর্থনে সময়ের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবীরা।
সকাল সোয়া দশটার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে বেলা সোয়া এগারটার দিকে আদালতের এজলাসকক্ষে ঢোকেন খালেদা জিয়া। আদালতের কার্যক্রম শেষে বাসায় ফিরে যান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) এ মামলায় ৩০ জানুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়াকে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত। অন্যথায় আইনানুযায়ী তার জামিন বাতিল করা হবে বলেও জানান।
একইদিন হাজির না হওয়ায় এ মামলার আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়া-তারেক রহমানসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য চার আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
একই আদালতে একই দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
জেডএফ/এএসআর