রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
এর আগে সকালে ডিএমপি কমিশনার জানান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, কূটনীতিকসহ কেবল মাত্র ভিভিআইপিরা একুশের প্রথম প্রহরে দোয়েল চত্বর দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
তিন বছর ধরে সরকার, বিরোধী দল ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন উপরে উল্লেখিত কোনো ক্যাটাগরিতেই পড়েন না। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছিল তিনি দোয়েল চত্বর দিয়ে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে পারবেন কি না?
দলীয় সূত্রমতে, দুপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এনি ও সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ১০০ নেতাকর্মীসহ একুশের প্রথম প্রহরে দোয়েল চত্বর দিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালেদা জিয়া ফুল দিতে যাবেন বলে ভিসিকে অবগত করেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের এই প্রস্তাবে নৈতিক সাড়া দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি। তবে ১০০ জনের জায়গায় ৬০ জন নেতাকর্মীর অনুমতি দেন তিনি। পরে রাত ৮টায় বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বলেন, একুশের প্রথম প্রহরে ভিভিআইপি রুটেই চেয়ারপারসন ফুল দিতে যাবেন। এটাই দলীয় সিদ্ধান্ত। খবরটি মিডিয়াকে পৌঁছানো নির্দেশ পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, রাত সাড়ে ১১টায় গুলশান বাসা থেকে রওনা দেবেন খালেদা জিয়া। পৌঁছাবেন রাত ১২টা ২৫ মিনিটে। ফুল দেবেন রাত ১২টা ৩০ মিনিটে।
২০১৬ সালে দোয়েল চত্বর দিয়ে ফুল দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন খালেদা জিয়া। পরে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফুল দেওয়ার সুযোগ পান খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এজেড/এনটি