অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এবং সম্পদের হিসাব দাখিল না করায় ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দু’টি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর মধ্যে ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা বাতিলে করা তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অন্যদিকে বুধবারই সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত।
জোবায়দার মামলায় হাইকোর্টে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জোবায়দার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, মামলা বাতিলে রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন বিচারিক আদালতে এ মামলার কার্যক্রম চলবে। একইসঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে কায়সার কামাল বলেন, তিনি (জোবায়দা) দেশের বাইরে আছেন। তাই আদালত আট সপ্তাহের সময় দিয়েছেন, যেন কোনো রকম বাধা-বিঘ্ন ছাড়া তিনি বিচারিক আদালতে গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ছাড়াও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
পরে একই বছরে জোবায়দা রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলেও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। কিন্তু এ মামলায় আসামিপক্ষ দুদককে পক্ষভুক্ত করেননি।
২০১৫ সালের ০২ এপ্রিল দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদককে পক্ষভুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ০২ নভেম্বর মামলাটি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠলে একজন বিচারপতি এ মামলা শুনতে বিব্রতবোধ করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। আইন অনুসারে পরে নতুন বেঞ্চ গঠন করে শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি।
অন্যাদকে ইকবাল মান্দ বানুর মামলার সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বাংলানিউজকে জানান, মামলায় দাখিল করা দুদকের চার্জশিট আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আগামী ১৪ মে গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করে হাইকোর্টে রিট করে স্থগিতাদেশ পান।
দুদক ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ।
ইকবাল মান্দ বানু সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় একই বছরের ৩০ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক আর কে মজুমদার ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
**তারেকের শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
**জোবায়দা রহমানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমআই/ইএস/বিএস/এএসআর