মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় সোমবার (১২ জুন) অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। এর আগেও ছয়বার একই কারণে অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এর আগে সোমবার শুনানির তারিখ ধার্য করেছিলেন। কিন্তু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আদালতকে জানানো হয়, এমপি রানা জ্বর, বমি ও পেটের রোগে আক্তান্ত। তাকে কারাগার থেকে আদালতে নেয়ার মতো অবস্থা নেই বলে কারাগারের চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাই তাকে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত ১৯ জুলাই অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন তারিখ দিয়েছেন।
দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর গেলো বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ওই সময় আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।
বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলের কলেজপাড়ায় তার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলায় আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। তাতে এ হত্যার ঘটনায় এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে রানা ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।
গেলো বছর ৩ ফেব্রুয়ারি রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
এসআই