প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার (০২ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে গত ০৯ মার্চ এ আবেদনটি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
খালেদার আইনজীবীরা জানান, ‘মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- সৌদি আরব থেকে অর্থ ট্রাস্টের নামে এসেছে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সৌদি আরব থেকে কোনো অর্থ আসেনি। অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে। এ অংশের পুন:তদন্ত চেয়ে করা আবেদন গত ০২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দেন বিচারিক আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। যে আবেদন গত ০৯ মার্চ খারিজ হয়ে যায়’।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে পর্যবেক্ষণসহ খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত। অর্থের উৎস বিষয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে পারে।
খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ না দেখে আদালতের আদেশ নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারবো না’।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, পর্যবেক্ষণসহ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। তবে অর্থের উৎস বিষয়ক নথি বিচারিক আদালতকে আমলে নিতে হবে।
রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।
২০০৮ সালের ০৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।
ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৭
ইএস/এএসআর