শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর তারা (বিভিন্ন সময় জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া সরকার) কি অত্যাচার করেছে এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এগুলো আমাদের আর্কাইভে রাখা দরকার। মানুষকে জানানোও দরকার; তারা কিভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। ’
‘এই যে তাদের অত্যাচার নির্যাতন-এটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। আমি জানি না, আমাদের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা কিভাবে ভুলে যান?,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতীতের অত্যাচার নির্যাতনের কথা আমরা ভুলে যাই। পরবর্তীতে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখি। ’
‘ক্ষমা করা ভালো, কিন্তু অতীত ভুলে যাওয়া যায় না, ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জিয়ার আমলে আমরা নির্যাতিত। এরশাদের আমলে প্রথম নির্যাতিত আমরা। খালেদা জিয়ার আমলে নির্যাতনের কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে
২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইলেকশনের পর থেকেই আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছিলো যে বাড়িতে থাকতে পর্যন্ত পারতেন না নেতাকর্মীরা। ’
‘ওরা যে অত্যাচার করেছে আমরা ক্ষমতায় এসে তার কিছুই করিনি। আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি। তারপরও তারা থামেনি। ২০১৩/১৪ তে নির্বাচন ঠেকানোর নামে অত্যাচার নির্যাতন করেছে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অফিস, ইলেকশনের পর থেকে আওয়ামী লীগ অফিসে কয়দিন আমরা ঢুকতে পেরেছি। কয়জন নেতা-কর্মী ঢুকতে পেরেছে। পুলিশ দিয়ে অফিস চার্জ করা। ভেতরে ঢুকে নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার। এমনকি মেয়েরাও রেহাই পায়নি। ’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পর রিসার্স (সিআরআই) অফিসে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে রাজনৈতিক দলের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। এবং সব কিছু নিয়ে যাওয়া হয়। ’
‘তারা এমনভাবে সিল করে দেয় যে, পরে আর খুলতে পারিনি। পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসার পর অফিস আমরা খোলার সুযোগ পাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৭
এমইউএম/এসকে/এমএ