এসময় শহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে মিরপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক, সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর রসিদ, এনটিভি ক্যামেরাপার্সন আশিকুজ্জামান সারপুসহ ১০ জন।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে আমরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সদস্য ফরম বিতরণ করছিলাম। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ছন্দ ও যুবলীগ নেতা তাপসের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ ১০ জন আহত হয়। একই সময় তারা শহিদুল ইসলামের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
এছাড়া বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির ক্যামেরাপার্সন আশিকুজ্জামান সারপুকে মারধর করে এবং ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এনামুল হকের মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বিএনপি কার্যালয়ে যুবলীগের কর্মীরা হামলা চালালে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে কার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০১৭
আরএ