ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চিকুনগুনিয়ার দায় এড়াতে পারেন না মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
চিকুনগুনিয়ার দায় এড়াতে পারেন না মেয়র গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে বক্তারা

ঢাকা: রাজধানীতে মহামারির আকার ধারণ করা চিকুনগুনিয়া ভাইরাস জ্বরের দায় সরকার, মেয়র কেউই এড়াতে পারেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি।

সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত সরকার, মেয়র কেউই চিকুনগুনিয়ার দায় এড়াতে পারেন না। রাস্তাঘাট কেটে ফেলে রাখবেন মাসের পর মাস, ড্রেন ও নর্দমা উপচে পড়বে সামান্য বৃষ্টিতেই, পুরো শহরকে করে রাখবেন মশা ও রোগ জীবানুর চাষ কেন্দ্র, আর চিকুনগুনিয়ার জন্য নাগরিকদের ওপর দায় চাপাবেন এ কেমন কথা? আসলে এটা নাগরিকদের প্রতি চরম অবহেলারই প্রকাশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবুল হাসান রুবেল, দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু, হাসান মরুফ রুমী এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবুসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঢাকা শহরে সম্ভাব্য ১৮ লাখ মানুষ চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত। ইতিমধ্যে এটি একটি মহামারির আকার ধারণ করেছে। চিকুনগুনিয়া জ্বরের কারণে যদি মানুষ মারা যেতো, তাহলে ঢাকা শহর একটি মৃত্যুর শহরে পরিণত হতো। অথচ এই মহামারির দায় সরকার বা দুই মেয়র অস্বীকার করছে সরাসরি।  

জরুরি ভিত্তিতে বন্যার্ত মানুষের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক বদ্বীপ। বর্ষাকালে নদীসমূহ উপচে আশপাশের অঞ্চলকে প্লাবিত করবে, উর্বর করবে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হিসেবে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত অধিকাংশ নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় নদীর তলদেশ ভরে উঠেছে। আর বর্ষাকালে সবগুলো গেট খুলে দেয়াতে একসাথে প্রচুর পানি প্রবেশ করে এবং বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গত বছর ঘটেছে আরও ভয়াবহ মাত্রায়। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।  

নেতারা আরও বলেন, বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বেড়িবাঁধ, রাস্তা, স্কুলঘর বিভিন্ন উঁচু স্থানে। খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, আশ্রয়ের অভাবে বিপন্ন অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের। সরকারের তরফ থেকে যে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় তা নিন্তাই অপ্রতুল এবং কোন কোন স্থানে একেবারেই লোক দেখানো। এ অবস্থার দ্রুত অবসান করে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ তৎপরতা শরু করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে অর্থ, শ্রম ও মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।