মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এখনো বিচারের আওতায় আসেনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-ই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইতিহাস কথা বলে। আমরা বার বার বলে এসেছি, এই জিয়াউর রহমানই ছিল মূল চক্রান্তকারী। শুধু বুদ্ধি পরামর্শ নয়, তিনি (জিয়া) খুনীদের সব রকমের সহায়তা দিয়েছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের আগে দিয়েছিলেন, হত্যাকাণ্ডের পরেও দিয়েছেন। ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এই সমস্ত খুনিদেরকে পুরস্কৃত করেছিলেন। বিদেশের রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলেন, পুনর্বাসন করেছিলেন, সেই জিয়াউর রহমানের বিচার হয় নাই। আজ বঙ্গমাতার জন্মদিনে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করি -বলেন মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের মাধ্যমেই জাতির কাছে তার মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুধু একটি দলের প্রধান বা রাষ্ট্রের প্রধানকে হত্যা করা হয় নি। এই হত্যাকাণ্ড ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা, আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করা, আমাদের সর্বোভৌমত্বকে হত্যা করা।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতের বিচার হয়েছে; বিচার চলছে, নিবন্ধন বাতিল হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণ দাবি করেছে, এদের (জামায়াত) রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা মনে করি, স্বাধীনতা ও মানবতাবিরোধী জামায়াত আজ যেমন জাতির কাছে ধিকৃত, তেমনিভাবে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তারাও জাতির কাছে ধিকৃত।
হানিফ বলেন, ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য যদি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতে পারে, তবে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মূল চক্রান্তকারী জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিরও বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে জাতি মনে করে। আজকে জনগণের কাছে সেই দাবি ওঠাতে হবে।
যারা এই দেশটাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, যারা এখানো এই দেশটাকে পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায়, তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না-বলেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
যুবলীগের সভাপতি মোহম্মদ ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, আতাউর রহমান, আবদুস সাত্তার, মাহবুবুর রহমান হীরন, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম শাহীন, শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, সারোয়ার হোসেন বাবু, যুগ্ম সম্পাদক একে এম মোমিনুল হক সাইফ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক, শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, সিদ্দিক বিশ্বাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৭
এজেড/এসএইচ