ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে।
হত্যাকাণ্ডের পর বিচারের পথও বন্ধ করেছিল খোন্দকার মোশতাকের সরকার। পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিয়ে ১৯৭৯ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে ওই অধ্যাদেশের বৈধতা দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জন সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন কূটনীতিক মিশনে চাকরিও দেন তিনি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারে বাধা কাটে।
তার আগ পর্যন্ত ওই ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিলে আদালতের কোনো উদ্যোগ না থাকা নিয়ে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনায় প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এত বড় বড় আইনজীবী থেকে শুরু করে এত বিবেকবান মানুষ ছিলেন, তারা তো সেভাবে কোনো প্রতিবাদ করেননি। ”
বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারীদের পরে নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
‘যারা বুদ্ধিজীবী ছিল... হাতে গোনা কয়েকজন হয়ত এর প্রতিবাদ করেছিল। আর তো কেউ বলেনি, এই খুনিদের কেন বিদেশে চাকরি দেওয়া হল।
এই আত্মস্বীকৃত খুনিদের একজনকে পোল্যান্ড রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিল বলেও জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ