ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘অবাক লাগে, হাসি পায়’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
‘অবাক লাগে, হাসি পায়’ শেখ হাসিনা

ঢাকা: সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের কথা বলার আগে বিএনপিকে নিজের চেহারা আয়নায় দেখার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমার খুব অবাক লাগে, বলতে গেলে হাসিই পায় যখন বিএনপি নির্বাচনের কথা বলে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার (অবাধ-সুষ্ঠু) নির্বাচনের কথা বলে। আর যখন তারা নানা রকম অভিযোগের কথা বলে।

আমার মনে হয় আয়নায় তাদের নিজেদের চেহারা দেখা উচিত।

আগামী নির্বাচন নিয়ে জল ঘোলা না করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যথা সময়ে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। .. নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে।

এটা নিয়ে নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলার চেষ্টা করা আর সংবিধান লঙ্ঘন করে অন্য কিছু চিন্তা করা। এই চিন্তা ভাবনা করার আর সময় নেই, সুযোগ নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল-শ্রেণি আছে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার অনেক শখ। কিন্তু নির্বাচন করে ভোট পাওয়ার সাধ্য তাদের নাই। এসব লোকদের শখ ও স্বাদ মেটাতে গিয়েই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা, সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা, জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়। বাংলাদেশে মানুষেএসব আর মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নির্বাচন সংক্রান্ত সবই তাদের (নির্বাচন কমিশনের) হাতে থাকে। তারা যদি কাউকে বদলি করতে বলে তখন বদলি করা হয়। তাছাড়া হয় না। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন করেছে।

বিএনপি’র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত করা, নির্বাচনের নামে প্রহসন করা, নির্বাচনে নামে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া এটা শুরু করেছে বিএনপি। যখন ৭৫ এর পর জেনারেল জিয়া সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলে নিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েছে তখনই এর শুরু। সেই ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের প্রহসন। ... তারপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

তিনি বলেন, মানুষের ভোট দেয়ার অধিকারই ছিল না। জবরদখল করা, সিল মারা, বাক্স ভরা এটাই ছিল তাদের নির্বাচন। ’

বিএনপি’র সৃষ্টি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সৃষ্ট দল বিএনপি, যে ক্ষমতায় বসে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ঠ বিলিয়ে যে দলটি গঠন করা হয়েছে।

৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অতদূরে যেতে হবে না, ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন নির্বাচন। আজকে তারা হিসেব করে কতজন আনকনটেস্টেটেড। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তো সবাই আনকনটেস্টটেড। ... খালেদা জিয়া দেড় মাসের মধ্যে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে ভোট চুরির অপরাধে।

অর্থ চুরি, সম্পদ চুরি, মানি লন্ডারিং, এতিমের টাকা চুরি করে খাওয়া, ভোট চুরি সব ব্যাপারেই তারা চ্যাম্পিয়ন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের বিভিন্ন নির্বাচনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের আমলে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সব স্বচ্ছভাবে হয়েছে। মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করেছে।


সংবিধান জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। .. আমরা সেটাকে সব সময় সম্মান করি। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপিও তো কতগুলো জায়গায় জয়লাভ করলো। সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয় তবে বিএনপি জেতে কিভাবে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা আমরা করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার আমরাই ফিরিয়ে এনেছি।

জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। এই স্লোগান আমরাই দিয়েছিলাম।

বিএনপি আমলের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ক্ষমতায় থেকে মানুষকে যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে সেটা মানুষ ভুলে যায়নি। তারা বিরোধী দলে থাকতে আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করে। আর ক্ষমতায় থেকে খুন লুটপাট, দূর্নীতি, মানি লন্ডারিং, যতরকম অপকর্ম আছে সবই করে গেছে।

বাংলাদেশ সময়:০১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
এমইউএম/এসকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।