চালক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই মহাসড়ক দিয়ে সিএনজি চালাতে হয়। তাও এক উপজেলার অটোরিকশা অন্য উপজেলা অতিক্রম করতে পারে না।
সেটা করলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের হাতে নিশ্চিত ধরা খেতে হয়। আর ধরা পড়লে রক্ষা নেই। তখন বহু চেষ্টা তদবির করে গাড়ি ছাড়াতে হয়। কিন্তু আজকে (বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর) সেই ঝুঁকি নেই।
কারণ জানতে চাইলে চালক আব্দুল মান্নান জানান, সারাদেশের ন্যায় বগুড়ায় হরতাল চলছে। বিগত সময়ে চলা হরতালে পুলিশ কখনো অটোরিকশা ধরেনি। এবারের হরতালেও তার ব্যতিক্রম হবে না। মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি চালালে অন্তত আজকের দিনে পুলিশ তাদের গাড়ি ধরবে না।
শেরপুর থেকে বগুড়ায় আসার পথে শেরপুর ধুনটমোড়, কলেজরোড, জামালপুর, নয়মাইল, শাজাহানপুরসহ ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের সামনে দিয়েই চলছে সিএনজিগুলো। কিন্তু আটক তো দূরের কথা, পুলিশ কোন অটোরিকশাকে দাঁড়ানোর সিগন্যাল পর্যন্ত দিচ্ছে না।
আজগর আলী, মোন্নাফ, আলম হোসেনসহ একাধিক সিএনজি অটোরিকশা চালক একই কথা জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘হরতালের ডাক পড়লেই মহাসড়কে সিএনজি চালানো আর অপরাধের মধ্যে পড়ে না। তখন মহাসড়কের জন্য সিএনজি বৈধ হয়ে যায়। হরতাল চলে গেলেই শুরু হয় পুলিশিসহ নানা হয়রানি’।
এসব চালকরা বলেন, হরতাল তাদের জন্য আশীর্বাদ। হরতালের ডাক আসলেই মহাসড়কে হয়রানি ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারেন তারা। ভাড়াও মারতে পারেন বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআই