বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বারবার আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেও ইসি তার বিরদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নির্বাচনী এলাকায় ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে বলেও প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে শুরু থেকে যেভাবে হয়রানী করা হয়েছে তাও নজিরবিহীন। আমরা আবারো নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই-ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে পেছনের দরজা দিয়ে জেতানোর কোনো চেষ্টা করলে জনগণ সেটির উপযুক্ত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখনও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি ইসি। নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ তৈরি হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে ভোটাররা এখনও ভয়ভীতির মধ্যেই রয়েছেন। এমন অবস্থায় রংপুর সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কী না এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমি বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কমিশনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের মানসিকতা স্বাধীন না হলে কমিশনের আইনি স্বাধীনতা কোনো কাজে আসে না বলে যোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বেসিক ব্যাংকে দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির বিষয়টি জনসম্মুখে স্পষ্ট হয়ে উঠলেও ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা জড়িত থাকায় দুদক বরাবরই সেটি এড়িয়ে গেছে। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭টি মামলা হলেও মূল হোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার ব্যাংক লুটপাটে জনগণের অর্থ আত্মসাতের কথা জাতির সামনে তুলে ধরলেও ক্ষমতার প্রভাবে সরকার বরাবরই তাতে কর্ণপাত করেনি। যদিও উচ্চ আদালতের নির্দেশে এখন নতুন করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে দুদক। এতে প্রতীয়মান হয় যে, আমরা বারবার যে অভিযোগগুলো উত্থাপন করেছিলাম তা ছিল তথ্যমূলক।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এম এ হান্নান, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
বিএস