বিক্ষোভ সমাবেশে দলের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, চালের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ আজ দিশেহারা।
‘এসব কথা আমরা যখন বলি, তখন এক শ্রেণির মানুষ বলে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে নাকি বর্তমানে মানুষ ভালো আছে। আমার প্রশ্ন- কারা ভালো আছে? যারা লুটেপুটে খাছে তারা ভালো আছে?’
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪০০ ডলার। সে হিসেবে মাসে একজনের আয় ৯ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে একজন মানুষ কিভাবে ভালো থাকতে পারে? চাল-সবজি খাবে নাকি বাড়ি ভাড়া দেবে?
সোহেল বলেন, পত্রিকায় দেখলাম বগুড়ায় এক কেজি আলুর দাম দেড় টাকা। ঢাকায় এলে যার দাম হয়ে যায় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একদিকে কৃষক তার উৎপাদন মূল্য পাচ্ছে না, অন্যদিকে মধ্যসত্ত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছে।
‘এই লুটেরা শ্রেণি দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া কিংবা এরশাদ যিনিই ক্ষমতায় এসেছেন তারাই লুট করেছেন। ’
দ্রব্যমূল্য কমাতে সরকারকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে না আনলে আমরা যুব ইউনিয়নের মাধ্যমে, সারা দেশের পাড়ায়, মহল্লায় কমিটি করে প্রশাসন ঘেরাও করবো। আমরা দেশ অচল করে দেবো। ’
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
এমএইচ/এমএ