রোববার (১০ ডিম্বের) রাতের ওই ঘটনায় আহত ম্যানেজারের নাম শফিকুল ইসলাম, কর্মচারীর নাম মনির হোসেন। ঘটনার পর তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মারধরের অভিযোগ ওঠা পিয়াস হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে আসেন পিয়াস। নিয়মানুযায়ী টাকা দিয়ে খাবারের টোকেন না নিয়ে ক্যান্টিন কর্মচারীকে তিনি খাবার দিতে বলেন। এসময় টোকেন ছাড়া খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে তাকে (কর্মচারী) মারধর করে খাবার নেন। খাবার শেষে চলে যাওয়ার সময় ক্যান্টিন ম্যানেজার শফিক তাকে (পিয়াস) টোকেন নেওয়ার কথা বললে তাকেও মারধর করেন। এতে শফিকের চোখ ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়। পরে হল শাখা ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস ক্যান্টিন কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে ক্যান্টিন ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, টোকেন চাওয়ায় প্রথমে সে (পিয়াস) এক ক্যান্টিন বালককে মারধর করে। পরে আমি তাকে টোকেন নিতে বললে সে ক্যাশবক্সের উপরে উঠে আমাকেও মারধর করে ও লাথি মারতে থাকে। এতে আমার চোখ ফেটে রক্ত বের হয়।
মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস বাংলানিউজকে বলেন, আমার সঙ্গে বেয়াদবি করেছিল। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আমরা বসে তার (পিয়াস) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বাংলানিউজকে বলেন, সহকারী আবাসিক শিক্ষক জাহিদুল আরেফিন চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এসকেবি/জেডএস