সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মান্না বলেন, জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শেষ দিকে বলা ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ শব্দটির ওপরে অনেকে আশাবাদ প্রকাশ করছেন।
তিনি বলেন, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রীরা বলছেন-নির্বাচনের সময় মন্ত্রী পরিষদকে ছোট করা হতে পারে। এটাই নাকি হবে নির্বাচনকালীন সরকার। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ওই (নির্বাচনকালীন সরকার) শব্দটি ব্যবহার করা জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ নির্বাচনকালীন সরকার বলতে সংবিধানে কিছু নেই।
সংসদ বলবৎ রেখে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেছেন-নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবে। আমরা বলতে চাই, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। এজন্য সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সংসদ বলবৎ রেখে আরেকটি সংসদ নির্বাচন হতে পারে না।
এ সময় তিনি বর্তমান সরকারের বিগত ৪ বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, অর্থনীতি, শিক্ষা, নারী নিরাপত্তা, জ্বালানি খাত, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সব খাতে অদক্ষতার পরিচয় মিলেছে। দুর্নীতির কারণে এ সব খাত আজ প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই সরকারের আমলে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
এমএসি/আরআর