এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে হবে না, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারও করতে হবে।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তির কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পারে, সংসদে যেতে না পারে সেজন্য আমরা প্রচারে নামবো। আমরা সরকারের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল এবং বিরোধী দলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলকে দেখতে চাই। এর কোনো বিকল্প নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, কিন্তু জামায়াতের বিচারও করতে হবে। ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচারও করতে হবে। জামায়াত গণহত্যাকারী দল, জামায়াতের বিচারও হতে হবে। জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
লেখক গবেষক মুন্তাসির মামুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের অনেকগুলো বিচার হাইকোর্টে রয়েছে। মামলা জটের কথা বলে অন্যান্য মামলার সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের মামলাকেও মেলানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ ভোটের রাজনীতির কারণে জামায়াতকে কাছে টেনে নিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে যেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আত্মতুষ্টিতে ভোগে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিন্তু এ বছর নির্বাচনের বছর, এখন আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে তাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি কি বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে? আমরা শুধু জামায়াতকে বলি তারা পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণায় চলছে। আসলে বিএনপিও একই, তারাও পাকিস্তানের ধ্যান-ধারণায় চলে। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তারাই আওয়ামী লীগের সমালোচনা করবে।
বক্তাদের বক্তব্য শোনার পর আলোচনায় অংশ নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শিকড় থেকে শেখ হাসিনা সরে যাননি। শেখ হাসিনা বাঘা বাঘা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। শুধু বিচারের রায়ই হয়নি, সেই রায় কার্যকরও করেছেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, সাংবাদিক শাহীন রেজা নুর, শমী কায়সার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০১৮
এসকে/জেডএস