শনিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান মাইকিং করে শহরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে এ ধারা জারি করেন। রাত ১০টা পর্যন্ত এ ধারা বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় কুমারখালী শহরসহ সমাবেশস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে কুমারখালীর পুরাতন চড়াইকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাসদ সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ বাধে। এ ঘটনায় জাসদ সমর্থিত নন্দলালপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম শেখকে মারধর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এরই প্রতিবাদে কুমারখালী শহরে অবস্থিত গড়াই কমপ্লেক্সের অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শনিবার দুপুরে প্রতিবাদ সভা ডাকে উপজেলা জাসদ।
এদিকে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরে মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে শনিবার দুপুরে একই স্থানে সরকারের সাফল্য ও উন্নয়নের ধারাবাহিতকায় নতুন মেয়াদে চার বছর পালন উপলক্ষে আলোচনা সভার ঘোষণা দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সকাল ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কুমারখালী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর পর থেকে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ইউএনও মো. শাহিনুজ্জামান জানান, একই স্থানে দুই দল সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সমাবেশস্থলসহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ