বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে আদালতে কথাগুলো বলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ।
পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ ৫ নম্বর আদালতে মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি চলছে।
পঞ্চম দিনের মতো শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উত্থাপন শেষে উপসংহার টেনে তিনি বলেন, ‘বড়শি না ডুবলে সিসা দেওয়া হয়, ভার বাড়ানোর জন্য। সেভাবে খালেদা জিয়া, শরফুদ্দিন আহমেদদের এ মামলায় জড়িয়ে মামলাটির ভার বাড়ানো হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘কারও ঘর পুড়লে কেউ কেউ আছেন তাতে আলু পোড়ায়। ঠিক তেমনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঘর পুড়িয়ে গেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান মাহমুদ চৌধুরী, আর তাতে আলু পোড়াচ্ছেন (ফায়দা নিচ্ছেন) কেউ কেউ (বর্তমান সরকার)’।
যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে তিনি শরফুদ্দিনের খালাস দাবি করেন।
এর আগে বেলা ১১টা ৫৫মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার আগেই ১১টা ১২মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। আসামি শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ ৫ম দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুরু করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা দু’টির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি মোট চারজন। খালেদা ছাড়া অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
**আদালতে খালেদা, যুক্তিতর্ক চলছে
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমআই/এসএইচ