বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও ন্যাপ ভাসানী আয়োজিত ৬৯’এর শহীদ মতিউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে তার অফিস ভাঙচুর করে, অফিসের গেট ভাঙচুর করে, অশালীন ভাষায় গালাগালি করে, তার দিকে তেড়ে গিয়ে যারা অপরাধ করেছেন সেই অপরাধটি হচ্ছে সবছেয়ে বড় অপরাধ।
সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ঢাবি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এভাবে ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে শাবল দিয়ে গেট ভেঙেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কারণ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের উপাচার্যকে এভাবে ঘেরাও করে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে এটি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় এবং পরবর্তী ঘটনাও দুঃখজনক সেখানে যারা বা যেই জড়িত থাকুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে যখন স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজমান তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনা ঘটিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে, খালেদা জিয়া অাদালতে হাজিরা দিতে যাওয়া এবং আসার সময় সেখানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটিয়ে দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন সচেতন। সুতরাং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে কোনো লাভ হবে না।
‘বিএনপি নেতাদের জেলে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনার এই বক্তব্যের মাধ্যমে আমরা আবার পেট্রোল বোমার পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। আপনাদের নির্বাচন প্রতিহতের নমুনা আমরা ২০১৩-২০১৪ সালে দেখেছি। সরকার পতনের লক্ষে আন্দোলনের নমুনা ২০১৫ সালে দেখেছি। সুতরাং আপনার এই বক্তব্যের মধ্যে আবারো পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের হুমকি জড়িয়ে আছে।
ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এমএ ভাসানীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়েরা মহসিন এমপি, জাতীয় পার্টির নির্বাহী সম্পাদক সাদেক সিদ্দিকি, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এনটি