তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধানিক পদ্ধতিতেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) শহীদ আসাদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর আসাদ গেটে শহীদ আসাদ ফাউন্ডেশন এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
এতে তোফায়েল আহমদ আরও বলেন, এটা নির্বাচনের বছর। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে, আর না হলে আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন সংবিধানে যে পদ্ধতি আছে সেই পদ্ধতিতেই হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের মতো যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। এটিই আমরা কামনা করি।
তোফায়েল আহমদ ৬৯ এর ২০ জানুয়ারি ছাত্র নেতা আসাদের শহীদ হওয়ার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা সেদিন ছাত্রসমাজ উত্তাল মিছিল নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আসাদ আমার পাশেই ছিলেন। হঠাৎ করে তাকে গুলি করা হয়। আসাদ লুটিয়ে পড়েন। পরিকল্পিতভাবে আসাদকে পুলিশ গুলি করেছিলো। শহীদ আসদের রক্ত ছুঁয়ে আমরা শপথ নিয়েছিলাম। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয় এবং ছাত্র জনতার গণ অভ্যুথ্থানের মুখে স্বৈরাচারি আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
আসাদ যদি শহীদ না হতো তাহলে ৬৯ হতো না, বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেতেন না। বঙ্গবন্ধু মুক্তি না পেলে ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ হতো না। আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পেতাম না।
স্মরণ সভায় আসাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ‘আসাদ গেট থেকে বসিলা’ পর্যন্ত সড়ক ‘আসাদ অ্যাভিনিউ’ নামকরণ করার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের সামনে যেখানে আসাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেখানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণেরও দাবি জানানো হয়।
তোফায়েল আহমদ তার বক্তৃতায় আসাদ গেট থেকে বসিলা পর্যন্ত সড়ক আসাদ অ্যাভিনিউ ঘোষণা করে বলেন, এটা আসাদ অ্যাভিনিউ, এটা জনগণের দেওয়া নাম। এটা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর ঢাকা মেডিকেলের সামনে স্মৃতি স্তম্ভের বিষয়ে আমি মেয়র সাঈদ খোকনকে বলবো।
শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডা. নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আসাদের বড় ভাই প্রকৌশলী রশিদুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসকে/এসএইচ