ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার মঈনুল রোডের বাসাই এতিমখানা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮
খালেদার মঈনুল রোডের বাসাই এতিমখানা! আদালত প্রাঙ্গণে খালেদা ও মঈনুল রোডের বাড়ি/ফাইল ফটো

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বহুল আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। যে এতিমখানা নিয়ে এই মামলা সেই এতিমখানা আসলে কোথায়। আদতে এতিমখানার কোনো অস্তিত্ব ছিল না, নেই। এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি খালেদার আইনজীবী কিংবা বিএনপি নেতাদের কাছ থেকেও।

মামলা চলাকালে খালেদার আইনজীবীদের এতিমখানার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা কেউ সঠিক উত্তর না দিয়ে কথা ঘুরিয়েছেন। খালেদা প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রায় ২৫ বছর আগে কুয়েত থেকে এতিমদের জন্যা টাকা আসে।

 

১৯৯১-৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয়, যার চলতি হিসাব নম্বর ৫৪১৬। ওই অ্যাকাউন্টে ১৯৯১ সালের ৯ জুন ইউনাইটেড সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ডিডি মূলে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা অনুদান হিসেবে জমা হয়।  

১৯৯৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খালেদা কোনো এতিমখানায় টাকা দেননি। ৫ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, আরাফাত রহমান ও ভাগ্নে মমিনুর রহমানের নামে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট গঠন করা হয়। ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেনানিবাসের ৩, মঈনুল রোডের বাসা। এই তহবিল থেকে টাকা তুলে ১৯৯৩ সালের ৪ ডিসেম্বর (চেক নম্বর ‎‎৪৮৮২৪০১) এই অ্যাকাউন্ট থেকে এতিমখানার জন্য মাত্র ৪ লাখ টাকা তুলে বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দাড়াইল মৌজায় ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকায় ২ দশমিক ৭৯ একর জমি কেনা হয়। যদিও সেখানে কোনো স্থাপনা কখনও গড়ে ওঠেনি। কার্যত মঈনুল রোডের বাসা আর বগুড়ার জমিতেই থেমে যায় এতিমখানা।

এরপর ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অনুদানের বাকি টাকা অন্য কোনো স্থাপনা বা দুস্থদের কল্যাণে অর্থ ব্যয় না করায় ওই হিসাবে ২০০৬ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ ব্যাংকে জমা পড়ে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৭৫৭ টাকা।

পরে তারেক রহমান ও মমিনুর রহমানের যৌথ স্বাক্ষরে ২০০৬ সালের ১২ এপ্রিল, ১৫ জুন এবং ৪ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে সর্বমোট ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা প্রাইম ব্যাংকের গুলশান শাখায় এফডিআর খোলার জন্য হস্তান্তর করা হয়। এই অ্যাকাউন্ট থেকে পরবর্তীতে ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের মাধ্যমে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা সরানো হয়। এই টাকা নিয়েই মামলা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।